নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
বাংলার সংস্কৃতিগুলো ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঘুড়ি উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্য। আমাদের আবহমান সংস্কৃতির অংশ হচ্ছে ঘুড়ি উৎসব। কিন্তু আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবায় আমাদের অনেক সংস্কৃতি এখন হুমকির মুখে। আমাদের দেশে আগে বিয়ে ও গায়ে হলুদ উৎসবে দেশের গান গাওয়া হতো। আমাদের ছেলে-মেয়েরা বাংলার সাজসজ্জা নিয়েই হাজির হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। এখন এসব উৎসবে বাংলা গান না হয়ে হিন্দি গান হয় এবং সেখানে সাজগোজও ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখে বদলে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের সংস্কৃতিতে প্রচন্ড আঘাত আনছে। তাই আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠে ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ঘুড়ি/সাকরাইন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, দপ্তর সস্পাদক রিয়াজ উদ্দিন ইলিয়াস, ঢাকা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শামীম সিদ্দিকী, সেক্রেটারি আক্তার হোসেন, সহ-সভাপতি লাবণ্য ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ও ঢাকা সাংবাদিক ফোরামে উপদেষ্টা আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক নেতা শাকিল আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘুড়ি উৎসব সংস্কৃতিরই একটি অংশ। সেটা আপনারা ধরে রেখেছেন সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ উৎসব সব সময় জাগ্রত থাকুক সেই প্রত্যাশাই করছি।
তিনি বলেন, আমাদের কিশোর-তরুণ সবাই ঘুড়ি উড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ঘুড়ি উড়ানোর সুযোগ বড় শহরে কমে গেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে খেলার মাঠ সেভাবে নেই। ছাদে উঠে ঘুড়ি উড়ানোর বিষয়টাও অনেকাংশে সঙ্কোচিত হয়ে গেছে। যে কারণে আমাদের তরুণরা এখন আর ঘুড়ি উড়াতে পারে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ ঘুড়ি উড়ানোর মধ্যে যে কি মজা ও উত্তেজনা সেটা আসলে যারা ঘুড়ি উড়াননি তারা বুঝতে পারবেন না। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই এ উৎসব যারা আয়োজন করেছেন তাদের। আসলে আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে এ সমস্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে এ করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের উৎসাহিত করা, তরুণদের উৎসাহিত করা এগুলো কিন্তু উৎসাহ উদ্দীপনা সংকট পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পৃথিবী যখন করোনা মহামারিতে আক্রান্ত তখন প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও দেশের জনগণের শিক্তিতে কোনো কাজ থেমে নেই, সবকিছু চলছে। এটির অত্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও প্রচুর জীবনীশক্তি সম্পন্ন জনগোষ্ঠী এ সংকটকে মোকাবিলা করছে।
ড. হাছান বলেন, আমি প্রায় টেলিভিশনে দেখতাম পুরান ঢাকায় ঘুড়ি উৎসব হয়। সেখানে উৎসব মুখর পরিবেশে রং বেরঙের ঘুড়ি উড়ানো হয়। সেটি শুধু টেলিভিশনেই দেখেছি, এবার আসার সৌভাগ্য হয়েছে। ছোট বেলায় ঘুড়ি উড়াতাম, এখনতো আর ঘুড়ি উড়ানো যাচ্ছে না। তাই ঘুড়ি উৎসবে আসার সুযোগটা মিস করেনি। সেজন্য আমি অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে এখানে এসেছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসবগুলোর মধ্যে সাকরাইন অন্যতম। এটি ঘুড়ি উৎসব বা পৌষসংক্রান্তি নামেও পরিচিত। পৌষ মাসের শেষে ও মাঘ মাসের প্রথম দিনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব উদ্যাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার সূত্রাপুর এলাকায় এবং পরদিন শুক্রবার শাঁখারীবাজার এলাকায় এ উৎসব উদ্যাপন করা হয়।
সরেজমিনে পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, সূত্রাপুর ও লালবাগ এলাকায় দেখা যায়, ভোরের কুয়াশার কাটতে না কাটতেই ছাদে ছাদে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো ও ঘুড়ির কাটাকাটি খেলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উৎসবের জৌলুশ। বিভিন্ন বাড়ির ছাদে বাজছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমে দেশি-বিদেশি গান।
স্থানীয় লোকজন জানান, সন্ধ্যায় থাকবে আগুন নিয়ে খেলা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো। এ ছাড়া সাকরাইন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দিরে হচ্ছে ‘বুড়ো-বুড়ি’ পূজা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।